বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে অপর পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর ও পদদলিত করা হয়।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পেয়ারপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার কবাই ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির নির্ধারিত দিন ছিল। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন।
প্রধান অতিথি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সেখানে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মন্টু গাজী, যুবদল নেতা হাসান, ছাত্রদল নেতা বাপ্পি ও ইউনিয়ন বিএনপি ক্যাডার রিগানের নেতৃত্বে শতাধিক লোক হামলা চালিয়ে ৬-৭ জনকে মারধর ও আহত করে।
হামলাকারীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে পদদলিত করে। তারা সবাই বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের সমর্থক বলে জানা গেছে।
হামলায় কবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২), প্রবীণ বিএনপি সমর্থক জয়দর হাওলাদার (৭০) ও বিএনপি কর্মী সুমন আকন (৫০) সহ ৬-৭ জন আহত হয়।
বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন জানান, শনিবার বিকেলে কবাই ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির কথা ছিল। তিনি সেখানে পৌঁছার ৩০ মিনিট আগেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও আহত করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি পদদলিত করে ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, কবাই ইউনিয়নের ঘটনাটি বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান রাজন অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।