শনিবার, আগস্ট ২, ২০২৫
No menu items!
spot_img

মুলাদীতে সালিশ বৈঠকে শিশু ধর্ষণের ঘটনা রফাদফা

বরিশালের মুলাদীতে সালিশ বৈঠক বসিয়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনা রফাদফা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে এ সালিশ বৈঠক করা হয়। সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত ধর্ষকের ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামি ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষক ১ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন এবং তখনই সালিশকারীরা জুতাপেটা করবেন বলে জানান। দুই পক্ষই গরীব ও অসহায় হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সালিশদের।

সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের সেলিম চৌকিদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক ইমন চৌকিদারকে (২৫) এ জরিমানা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৯ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

সালিশ আয়োজকদের একজন চরমালিয়া গ্রামের সাইদুল ব্যাপারী জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার ও অভিযুক্ত ইমন চৌকিদার অসহায়। থানা পুলিশ ও আদালতের ঝামেলা এড়াতে সালিশ বৈঠক করে জরিমানা ও জুতাপেটা করার রায় দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ঘরে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন ইমন। পরে শিশুটি অসুস্থ হলে স্থানীয় ঔষধের দোকানে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় একটি মহল শিশুর পরিবারকে থানা-পুলিশ করতে নিষেধ করেন। মঙ্গলবার রাতে চরমালিয়া গ্রামের সাইদুল ব্যাপারী, দেলোয়ার ব্যাপারী, খোকন মুন্সী ও সেলিম নিকদারসহ কয়েকজন মিলে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে ইমন শিশু ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও জুতাপেটা করার ঘোষণা দেন তারা। তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পারায় তাকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয় সালিশ বৈঠকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হান্নান চৌকিদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার শিশুর অভিভাবকেরা বিচার দাবি করেছিলেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। পরে শুনেছি সালিশ বৈঠক হয়েছে কিন্তু বিস্তারিত জানা নাই।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেলে দ্রুত মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular