বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৮, ২০২৫
No menu items!
spot_img

ব্যবসা দখলের অভিযোগে ভাসুরের বিরুদ্ধে প্রয়াত সাংবাদিকের স্ত্রীর জিডি

৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পারিবারিক ব্যাবসা দখল জীবননাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির প্রয়াত সাংবাদিক মো. মনিরুজ্জামান মনিরের ভাই আবুল বাশার শামীমের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন প্রয়াত সাংবাদিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

‎জিডি সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনিরের স্ত্রী শারমিন আক্তারের কাছে জমি বিক্রি ও পরিবহন ব্যবসার আয় থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নেন আবুল বাশার শামীম। শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, টাকা ফেরত চাইলে শামীম ও তার ছেলে সাইদুল বাশার স্বরণ বিভিন্ন সময় তাকে ও তার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই শামীম ও তার ছেলে তার বাসায় গিয়ে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেন। পরে শারমিন আক্তার ঝালকাঠি থানায় (ডায়েরি নং-১৩৮০) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

‎অভিযোগে শারমিন আক্তার উল্লেখ করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ভাসুর আবুল বাশার শামীম ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও জমিজমার কাগজপত্র তৈরির কথা বলে বিভিন্ন নথিতে স্বাক্ষর ও ছবি নেন। পরে সেগুলো দিয়ে এফিডেভিট তৈরি করে তাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করেন। ২০২২ সালে তাদের শ্বশুর আব্দুল মজিদ হাওলাদার মারা গেলে শামীম মনিরের বরিশাল বাস মালিক সমিতির দুটি বাস ও জমিজমার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেন।

‎মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং শহরের ধানসিড়ি রেস্ট হাউজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছোট ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের কাগজ ও দেশ টিভির ঝালকাঠি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া ঝালকাঠি প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগে থেকে মনির তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শহরের বাহের রোডের বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।

‎ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে এএসআই অনিমেষ বিশ্বাস ঘটনাটির তদন্ত করছেন। দ্রুত আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

‎শারমিন আক্তার বলেন, আমার ভাসুর আবুল বাশার শামীম নিজের স্বার্থের জন্য তিনি যে কোনো কিছু করতে পারেন। শুধু টাকা আত্মসাৎ নয়, আরও অনেক জঘন্য কাজ তিনি করেছেন। সময় হলে সব প্রকাশ করব।

‎এ বিষয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল বাশার শামীম কল কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular