মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর জেলেদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া, এ ঘটনায় ২৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
হামলায় আহত চিকিৎসাধীন দুইজন হলেন—ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন ও মৎস্য বিভাগের স্পিডবোট চালক মো. জহির উদ্দিন।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ থেকে কিছুটা দূরে মেঘনা নদীর বরিশাল অংশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভোলা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৎস্য অধিদপ্তরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্লাহর নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ৮টি দলে ভাগ হয়ে নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। অভিযানের একপর্যায়ে প্রশাসনের উপর হামলা শুরু করেন জেলেরা। অভিযানে ২৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। তারা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে অভিযানে অংশ নিই। অভিযান চলাকালে জেলেরা হামলা চালান। গুরুতর আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলছে। মেঘনা নদীর ভোলারচর থেকে শুরু করে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা অংশে জেলেরা প্রকাশ্যে ইলিশ শিকার করছেন—এমন সংবাদ পাই। এরপর উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যদের নিয়ে ৮টি স্পিডবোট যোগে অভিযান শুরু করি। ভোলা থেকে অভিযান শুরু করে আমরা যখন বরিশালের হিজলার দিকে যাই তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান, তারা সন্ত্রাসী।
কোস্টগার্ড সদস্যসহ আমাদের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। অভিযানে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।