সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
No menu items!
spot_img

২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমিতির পরিচালক, সদস্যদের বিক্ষোভ

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় ‘আলোক শিখা’ নামের একটি সমিতির পরিচালকের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক সদস্যের প্রায় ২০ কোটি টাকার আমানত নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে কোনো সনদ না নিয়েই সমিতির ২৩টি শাখা খুলে পরিচালনা করছিলেন। এর মধ্যে নেছারাবাদে তিনটি শাখা রয়েছে।

নেছারাবাদের তিনটি শাখার ভুক্তভোগী সদস্যদের অভিযোগ, পরিচালক দেলোয়ার নেছারাবাদের তিনটি শাখা থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। শনিবার (০৩ মে) সকালে নেছারাবাদ উপজেলার শর্ষিণা মাগুরা গ্রামে জড়ো হয়ে সমিতির মাঠকর্মী শারমিন আক্তারের বাড়ির সামনে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ করেন।

রেহানা পারভীন নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার স্বামী প্রবাসী, বিদেশ থেকে পাঠানো ১০ লাখ টাকার মতো সঞ্চয় করেন এবং সেই টাকা ‘আলোক শিখা’ সমিতিতে জমা রাখেন। মাঠকর্মী শারমিনের কথায় প্ররোচিত হয়ে মোট ১০ লাখ টাকা জমা করেন। এখন সমিতির পরিচালক দেলোয়ারকে না পেয়ে মাঠকর্মী শারমিনের বাসায় গেলে শারমিন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।

বিলকিস নামের এক নারী জানান, তিনি মানুষের বাসায় কাজ করে চার লাখ টাকা জমিয়ে শারমিনের কথায় সমিতিতে রেখেছিলেন। এখন আমানত ফেরত পাচ্ছেন না।

হ্যাপী বেগম নামের এক নারী বলেন, তিনি কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সমিতিতে ছয় লাখ টাকা জমা করেছিলেন। এক বছর ধরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে সমিতির পরিচালকসহ মাঠকর্মী নানা বাহানা করে তাকে ঘোরাচ্ছিলেন।

মাগুরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন জানান, ‘আলোক শিখা’ সমিতির পরিচালক দেলোয়ার কয়েকজন মাঠকর্মীর মাধ্যমে তিনটি শাখা থেকে ২০ কোটি টাকার আমানত হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

‘আলোক শিখা’ সমিতির মাঠকর্মী শারমিন বলেন, আমি কারো টাকা আত্মসাৎ করিনি। টাকা সংগ্রহ করে সমিতিতে দিয়ে দিতাম। পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ঢাকায় আছেন। আমি কী করবো? তাছাড়া আমি ছয় থেকে আট মাস হলো চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।

নেছারাবাদ উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি জানান, আলোক শিখা বানারীপাড়া উপজেলা থেকে পরিচালিত হয়। এটি মূলত সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও জয়েন্ট স্টক থেকে সনদপ্রাপ্ত। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে সমিতিটির কোনো সনদ নেই। তাই এর কোনো ঋণ ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনার বিধান নেই। কীভাবে এসব কার্যক্রম চালিয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেখার বিষয়।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular