২৩ বছর পর পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ। সম্মেলন শুরুর আগেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকেই শহরের প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে স্লোগান আর হাততালিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালী শহর।
সম্মেলনস্থল পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মাঠ এখন পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়। পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নেতাকর্মীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিজেদের ইউনিটের নামসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হচ্ছেন। কেউ এসেছেন বাসে, কেউ মাইক্রোবাসে, কেউবা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে কিংবা হেঁটেই এসেছেন সম্মেলনে অংশ নিতে।
সম্মেলন স্থলের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশপথে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি চালাচ্ছেন, পাশাপাশি মাঠ ও আশপাশের এলাকায় কড়া নজরদারি করছেন।
ছোট বিঘাই ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি নেতা কাওসার আহমেদ বলেন, পটুয়াখালীর রাজনৈতিক ইতিহাসে আজ একটি মাইলফলক রচিত হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তৌফিক আলী খান কবির বলেন, তারেক রহমানের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আজকের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি দলের দুর্দিনের একজন কর্মী। আশাবাদী তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
দুপুর নাগাদ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হবে এবং বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা।