বরগুনার আমতলী উপজেলায় মাছ শিকারে চলমান ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন বরাদ্দের চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন জেলেরা। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিষিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন।
আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে চাওড়া ইউনিয়নের চাল না পাওয়া জেলেরা এ বিক্ষোভ করেন। পরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দেন তারা।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, আমতলী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো. রাসেল, মেরিন ফিসারিজ অফিসার মো. অলিউর রহমান ও উপজেলা ফেসিলিটেটর মো. মাইনুল ইসলাম।
জেলেদের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর আমতলীর ঘটখালী ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের নামের চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু ৬০২ জন কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে আনুমানিক ৩০০-৩৫০ জন কার্ডধারী জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি জেলেদের নামে তারা টিপসই ও স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের কাছে গেলে সব জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে এক প্রকার অর্ধাহারে দিন পার করছেন জেলেরা। আর এ কারণেই তদন্ত সাপেক্ষে কার্ডধারী জেলেদের দ্রুত চাল দেওয়ার আহ্বান জানান জেলেরা।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি হাতে পাইনি।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।