১৪ বছর বয়সি মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর মায়ের দাবি, প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর মা। এর আগে গত ৩ জুলাই ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয় বলে জানা গেছে।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে মো. রাব্বি (২৫) ও তার বন্ধু সোহাগ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই মাসহ আমতলীর খেকুয়ানী গ্রামের মামা বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই মাদ্রাসাছাত্রী। জুয়েলের প্রতিবেশী রাব্বি ভুক্তভোগীকে দেখে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মাকে জানায় ওই ছাত্রী। বাদী রাব্বিকে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে রাব্বি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
গত ৩ জুলাই সকাল ১১টার দিকে ভুক্তভোগী মামা বাড়ির পাশে একটি দোকানে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে যায়। রাব্বি ও তার বন্ধু সোহাগ তাকে দেখতে পেয়ে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী বলেন, ‘রাব্বি আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জোর করে বিয়ে করতে চায়। আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের বয়স মাত্র ১৪ বছর। আমরা ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসছি। অপহরণের সাতদিনে আমার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মেয়ে রাব্বির কাছে আছে। আমার ধারণা, সোহাগের সহায়তায় রাব্বি আমার মেয়েকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামীরা আমার মেয়েকে খুন করে লাশ লুকিয়ে রাখতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কি না তাও জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আমতলী থানায় মামলা করতে যাই। থানা মামলা নেয়নি। তাই আদালতে মামলা করেছি।’
আমতলী থানার ওসি আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমতলী থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। ’