রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় লাল চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
১১ জুলাই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার আয়োজনে জেলা শহরের খলিফাপট্টি জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বাংলাস্কুল মোড় ঘুরে নতুন বাজার হয়ে একই স্থানে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘পাথর মেরে মানুষ খুন, বিএনপির মহাগুণ’, ‘৯ মাসে দুইশো খুন, বিএনপির মহাগুণ’, ‘মিটফোর্ডে হত্যা কেনো তারেক রহমান জবাব দে,বিএনপির সন্ত্রাসীরা হুশিয়ার সাবধান,আমার সোনার বাংলায় সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই,এ্যাকশন টু এ্যাকশন ডাইরেক্ট এ্যাকশন,আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ,নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবারসহ’ নানা প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ভোলা জেলা শহর।
সমাবেশ থেকে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, “মিটফোর্ডে যেভাবে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তা কোনো বিবেকবান মানুষ সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে নতুন করে ঘৃণার ইতিহাস রচনা করেছে বিএনপি। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পরে নব্য ফ্যাসিস্ট বিএনপি যেভাবে চাঁদাবাজি দখলবাজী সন্ত্রাসী ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে ক্ষমতা পাওয়ার আগেই তাদের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল চার দেয়ালের মধ্যে,দেখা যায়নি। কিন্তু ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ডে জনসম্মুখে পাথর মেরে হত্যা করার পর লাশের ওপর নৃত্য করা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। ক্ষমতায় আসার আগেই যারা ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন,শেখ হাসিনা গিয়েছে যে পথে আপনারা যাবেন সে পথে। প্রয়োজনে নব্য ফ্যাসিস্টকে বিদায়ে ফের যুদ্ধের দামামা বাজাতে হবে।”
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের সেক্রেটারী মাওলানা তরিকুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মমিন,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান প্রমুখ।