সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
No menu items!
spot_img

বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা শহরের সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মানু (৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির (৩৫), রহিম (৪০), রুবেল (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আব্দুল হাই (৫০), সাইদুল (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫), মিজান (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ এনে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিকর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম হাসান, যুবদলের সদস্য সচিব রিয়াজুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কৃষকদলের জেলা সহসভাপতি হারুন অর রশিদ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফরসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আহ্বায়ক শহিদুল হকের নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। একই সময়ে একই স্থানে মাহবুবুল আলম মামুন ও রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নৌবাহিনী ঘণ্টাব্যাপী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা সবাই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর আহত থাকায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও এক জন ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করি।

এ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা এতে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হয়। এ বিষয়ে আহ্বায়ক মো. শহিদুলের বিষয়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল।

এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।’ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, ‘বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular